গারো কথক বা গোত্র- ১ম পর্ব ‖ খু•রাং

গারোদের গোত্র গণনা সব সময় একই জায়গায় থাকেনি, সময়ে কালে পরিবর্তন হয়েছে। কোনদিন কমেনি, বৃদ্ধি পেয়েছে। অনেকে দু’টি নাম নিয়েছে। আবার অনেকে বের হয়ে নতুন নাম নিয়েছে। আবার অনেকে একটি নামকে দু’ভাগ করে ভাগাভাগি করে নিয়েছে।

গারোদের এ গোত্র সম্পর্কে বিভিন্ন লোকের কাছে জিজ্ঞেস করে, অল্প অল্প যোগাড় করে, জেনে নিয়ে, মোটামুটি সংগ্রহ করেছি। সেটা নিয়েই এই ধারাবাহিক আয়োজন।

ছবি: সংগ্রহ

গারো গোত্রগুলো যথাক্রমে— ১. আবেং বা আমবেং, ২. আদং, ৩. চিবক, ৪. দোআল, ৫. আওয়ে বা আখাওয়ে, ৬. গারা, ৭. মাৎচি, ৮. চিসাক, ৯. কচ্ছু, ১০. ব্রাক, ১১. সমন, ১২. বাবিল, ১৩. মেগাম দিকগিল, ১৪. রোগা, ১৫. আচিক, ১৬. মাতাবেং, ১৭. গানচি, ১৮. মালং, ১৯. মালে।

আরও থাকতে পারে। মালং মালে এ দু’টি গোত্রকে বিশ্বাস করা যায় না, কিন্তু, যারা বলেছে তারা জোর দিয়েই বলেছে। আবার একটি দু’টি হয়েছে- গারা গানচি একটি ছিল, পরে দু’ভাগ হয়ে গারা আরো গানচি হয়েছে। আবার দোআল গোত্র থেকে বের হয়ে ব্রাক গোত্র নেয়, তাদেরকে আবার অনেকে উপগোত্র বলে। আবেং বা আমবেংকে ইচ্ছে করলে ভাগ করা যায়। বাংলাদেশের লোকেরা আবেং গোত্র বলে ডাকে, আর ভারত মেঘালয়ের গারোরা আমবেং বলে ডাকে। আসলে একই বলে। আবার অনেকে বলে, আবেং বা আমবেং এক নয়, আলাদা আলাদা গোত্র। আওয়ে বা আখাওয়ে গোত্রকেও বলে এক নয়, আলাদা গোত্র। কেউ কেউ বলে, আবেং আমবেং মাতাবেং এক গোত্র। এভাবে এখন নানা কথা নানা মত। প্রথম থেকে লিখে না রাখলে বা ব্যবহার না করলে যা হবার তাই হয়েছে। এটা সমাধান দেওয়ার মতো জায়গা আর নেই। ধরে নেওয়া ছাড়া উপায় নেই। (চলবে...)

লেখক : তর্পণ ঘাগ্রা।

Post a Comment

0 Comments