সাভারে ৩১০টি গারো পরিবার চরম দুর্ভোগে, ঘরে অন্ন নেই ত্রাণও নেই ‖ খু•রাং

খু•রাং দ•আমেক


সাভারের ইপিজেড এলাকায় বিভিন্ন গ্রাম-এলাকা থেকে আসা প্রায় ৩১০টি গারো পরিবার করোনা পরিস্থিতিতে চরম দুর্ভোগে আছে বলে খবর পাওয়া গেছে। জানা গেছে, কয়েক মাস ধরে তাদের অনেকেরই চাকরি নেই। অনেকের চাকরি থাকলেও বেসিক বেতন পাচ্ছেন, আবার অনেকেই বেসিকের ৬০% বেতন পাচ্ছেন। এ অবস্থায় অনেক পরিবার তাদের নূন্যতম মৌলিক চাহিদা পূরণে ব্যর্থ হচ্ছে। অনেকের সঞ্চয় ইতোমধ্যে শেষ, ঘরে মজুত করে রাখা খাবারও শেষ। অন্ন সংস্থানে তারা চরম দুর্বিপাকে পড়ে আছে। এ ছাড়াও আছে ঘর ভাড়া। 

তাদের একজন মানিক মানকিন জানান,  আমরা খুব সমস্যায় পড়ে আছি। আমরা এও বুঝতে পারছি, এভাবে দিন গেলে আমরা আরও সমস্যায় পড়ব। কিন্তু উপায়ও নেই। বাড়ি চলে যাবো এটা বোধহয় আরও কঠিন। সঙ্গে আমাদের পরিবার ও বাচ্চা-কাচ্চা আছে। গাড়ি বন্ধ। এখানে যারা আছি সবাই নিম্ন আয়ের। গার্মেন্টস ফ্যাক্টরীগুলোতে অল্প বেতনে কাজ করে কোনমতে আমরা জীবন নির্বাহ করি। আমাদের দীর্ঘদিন ধরে অনেকেরই চাকরি নেই। চাকরি থাকলেও অল্প বেতন দেওয়া হচ্ছে। এই বেতনে আমরা ঘর ভাড়ায় দেব, না নিজেরাই চলব—এরকম সমস্যায় এখন আমরা প্রত্যেকেই দিনাতিপাত করছি।

তিনি আরও জানান, কাকতালীয়ভাবে আমাদের সাথে কারিতাসের বড় কর্মকর্তা থিওফিল নকরেকে সাথে যোগাযোগ হয়েছিল, তিনি বললেন, জিরানী ক্যাথলিক মিশনে গিয়ে যোগাযোগ করতে এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে। আমরা লিস্ট-টিস্ট দিয়ে এসেছি, কিন্তু কি হয়েছে জানি না। ঢাকা থেকে বিজিও’র লোকেরাও যোগাযোগ করে ব্যবস্থা নেবে বলেছিল। আসলে আমরা নিজেরাই আমাদের অবস্থা তাদের বোঝাতে সক্ষম হয়েছি কিনা জানি না। তবে সহযোগিতা আমাদের অবশ্যই দরকার। আমরা নিরুপায় হয়ে আছি। 

মিল্টন চাম্বুগং নামের আরও একজন তিনিও একই কথা বললেন। আমরা এভাবে কতদিন টিকে থাকতে পারব বা আদৌ পারব কিনা এই দুশ্চিন্তার মধ্য দিয়ে আমাদের দিনগুলো পার হচ্ছে। কিন্তু কোন সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান আমাদের সাহায্যে এগিয়ে আসছে না। আমরা বিত্তবান ও যারা সাহায্য সহযোগিতা করছেন তাদের নজর আমাদের দিকেও পড়ুক এই কামনা করছি। আমরাও টিকে থাকতে চাই।

সংবাদটি শেয়ার করুন...

Post a Comment

0 Comments